ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি: বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ক্রমশ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে এলাকাভিত্তিক কিশোর গ্যাং এর অপতৎপরতা। বিশেষ করে নগরীর সংস্কৃতি ও পত্রিকা পাড়া হিসেবে পরিচিতি পাওয়া চেরাগী মোড় ও আশপাশের এলাকার লোকজন কিশোর গ্যাং এর উৎপাতে অতিষ্ঠ।
আন্দরকিল্লা থেকে মোমিন রোড হয়ে জামালখান পর্যন্ত রাজনৈতিক কথিত বড় ভাইদের আশ্রয়, প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে উঠতি বয়সী কিশোররা
আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলে জড়িয়ে এক পক্ষ সদলবলে হামলে পড়ে প্রতিপক্ষের উপর।
ঘটে খুনোখুনি ও রক্তারক্তির মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা। জানা যায়, জামালখান, লালখানবাজার, চকবাজার, বাকলিয়া আগ্রাবাদ কমার্স কলে এরিয়া,বহাদ্দার হাট,শুলক বহর, বায়েজিদ সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরকার দলীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর,কথিত বড় ভাইদের নেতৃত্বাধীন কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এসব কিশোর গ্যাংয়ের অনেক সদস্য চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে খুব কম সময়েই ‘হাত পাকিয়ে’ ফেলেন। এসব গ্যাংয়ের নেতা হিসেবে আলোচনায় আছেন এলাকার চিহ্নিত বখাটে, ছিনতাইকারী, মাদক মামলার আসামি, এমনকি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরও।
স্থানীয় বাসিন্দা ও এলাকার দোকানিরা জানান, আজ ৪ঠা জুন (শনিবার) দুপুর ১২ টার দিকে নগরীর ব্যস্ততম চেরাগী মোড়ের আজাদী গলিতে কিশোরদের একটি পক্ষ হঠাৎ করেই অন্য পক্ষকে ধাওয়া দেয়।
এক পক্ষ অপর পক্ষকে লাঠি ও গাছ দিয়ে মারতে থাকে। অনেকের পরনের শার্ট ছিঁড়ে ফেলা হয়। উল্লেখ্য যে কিছুদিন আগেও ঐ এলাকায় ছাত্রলীগের ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান ১ শ গজের ভিতরে পুলিশ কমিশনার উত্তরের কার্য্যালয় থাকলেও এই সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।